রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই কমবেশি হয়ে থাকে। এই দুঃস্বপ্ন কার কখন হবে এটা বলা খুবই কঠিন। অনেকে মনে করেন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে যাওয়ার পর আর দুঃস্বপ্ন দেখবেন না। কিন্তু এটা এমন একটা জিনিস যা বয়স হলেও ছাড়ে না। একেবারে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষের ঘুমের মাঝেও হানা দেয় হাজারো রকমের দুঃস্বপ্ন।
দুঃস্বপ্নের কারণঃ
একেবারে কারণ ছাড়াই যেমন দুঃস্বপ্ন দেখা দিতে পারে, তেমনি জীবনে বিভিন্ন চাপ, দুশ্চিন্তা বা অসুস্থতা থেকেও দুঃস্বপ্নের উৎপত্তি হতে পারে। স্ট্রেসে থাকা মানুষেরা প্রায়ই একটা দুঃস্বপ্ন দেখে থাকেন আর তা হল উঁচু কোনও জায়গা থেকে পড়ে যাওয়া বা বিপদ থেকে দৌড়ে পালানো। যারা অতীতে খুব ভয়ঙ্কর কোনও দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন তাদের স্বপ্নে সেই দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে দেখা যায়। মাদকাসক্তি, ধূমপানে আসক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে এসব আসক্তি ছেড়ে দেবার প্রক্রিয়ায় দেখা দেয় দুঃস্বপ্ন। আর দুঃস্বপ্নের খুব সাধারন আরেকটি কারণ হল রাতে দেরি করে খাওয়া। এতে অনেক সময় বদহজম হয়, ফলে পেটের গোলযোগ থেকে দুঃস্বপ্ন তৈরি হয়। এই খাবার হজম হলেও দেখা যায় হজমের পর খাদ্যের এই শক্তি ব্যবহার করে মস্তিষ্ক এত সক্রিয় হয়ে যায় যে খুব বাস্তব ধাঁচের দুঃস্বপ্ন দেখে মানুষ। ঘুম কম হলেও দুঃস্বপ্ন দেখা যায়।
দুঃস্বপ্ন এড়াবেন কি করে?
দুঃস্বপ্ন দেখার ফলে অনেকেই মানসিক চাপে থাকেন। স্ট্রেসের ফলে যেসব দুঃস্বপ্নের উৎপত্তি হয় সেগুলোর থেকে জন্ম নেয় আরও বেশি স্ট্রেস। আর বড়রা দুঃস্বপ্ন দেখে কিছুটা সামলে উঠতে পারলেও বাচ্চারা দুঃস্বপ্ন দেখলে সেসব তাদের মনে অনেক গভীরভাবে দাগ কাটে। খুব সহজেই চমকে ওঠে তারা, দুঃস্বপ্নের ভয়ে ঘুমাতে চায় না। দেখে নিন দুঃস্বপ্ন দূর করার পদ্ধতি।
দুঃস্বপ্ন এড়াবেন কি করে?
দুঃস্বপ্ন দেখার ফলে অনেকেই মানসিক চাপে থাকেন। স্ট্রেসের ফলে যেসব দুঃস্বপ্নের উৎপত্তি হয় সেগুলোর থেকে জন্ম নেয় আরও বেশি স্ট্রেস। আর বড়রা দুঃস্বপ্ন দেখে কিছুটা সামলে উঠতে পারলেও বাচ্চারা দুঃস্বপ্ন দেখলে সেসব তাদের মনে অনেক গভীরভাবে দাগ কাটে। খুব সহজেই চমকে ওঠে তারা, দুঃস্বপ্নের ভয়ে ঘুমাতে চায় না। দেখে নিন দুঃস্বপ্ন দূর করার পদ্ধতি।
১) অনেক সময়ে বেশ কড়া কিছু ওষুধ খাওয়ার ফলে দুঃস্বপ্নের পরিমান বেড়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধের মাত্রা কমানো বা ওষুধ পরিবর্তন করা যেতে পারে।
২) স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের মাঝে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপসর্গ যাদের মাঝে দেখা যায়, এসব জটিলতার কারনে তাদের দুঃস্বপ্ন তৈরি হতে পারে। এর চিকিৎসা করলে দুঃস্বপ্নের পরিমান কমে যায়।
৩) শারীরিক অসুস্থতা ছাড়াও মানসিক কারনে দুঃস্বপ্ন তৈরি হতে পারে। দুশ্চিন্তা বা বিষণ্ণতা থেকে দেখা দিতে পারে নিয়মিত দুঃস্বপ্ন। এসব জটিলতার চিকিৎসা করানোই সবচাইতে ভালো উপায়।
৪) ঠিক সময়ে ঘুমানো এবং গভীর ঘুম দুঃস্বপ্ন দূর করতে সাহায্য করে। ভারী ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এবং ধ্যান এক্ষেত্রে কাজে আসে।
৫) বেডরুমের পরিবেশ যেন ঘুমের সহায়ক হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখুন। শান্ত পরিবেশ তৈরি করুন। বেডরুমে অফিসের কাজকর্ম নিয়ে আসবেন না।
৬) এ ছাড়াও চা-কফি অর্থাৎ ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় বেশি রাত করে খাবেন না। বিকেলের পর তো নয়ই। কারন এগুলো আপনার শরীরে থেকে যেতে পারে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। (সূত্রঃ প্রিয় ডট কম)

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন